১২ মে, ২০১০ তারিখে দৈনিক কালের কন্ঠে প্রকাশিত রিপোর্ট,

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা
জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে মতিউর রহমানকে
নিজস্ব প্রতিবেদক


মতিউর রহমান, প্রথম আলোর সম্পাদক

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক টিপু সুলতানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর দেওয়া জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সিআইডি সূত্র এ কথা জানায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিআইডির একাধিক কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে জানান, কালের কণ্ঠে গত সোমবার আবদুস সালাম পিন্টুর জবানবন্দি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় প্রথম আলো ক্ষুব্ধ। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে কয়েকজন সাংবাদিক তাঁদের দোষারোপ পর্যন্ত করছেন। ফলে তাঁরাও এখন বিব্রত অবস্থায় আছেন।

গত ২৭ এপ্রিল আবদুস সালাম পিন্টুকে হাজির করা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুর রহমানের আদালতে। ২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বোমা হামলা মামলায় (মামলা নম্বর ১০ (০৬) ২০০১) রিমান্ডের জন্য ওই দিন শুনানি হয়। এই মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান দীপু কালের কণ্ঠকে জানান, সিআইডি পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পিন্টুর চার দিনের (গত ২৭ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত) রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিনই সিআইডি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিন্টুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় নেয়।

সিআইডি সূত্র মতে, পিন্টুকে রিমান্ডে এনে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করাকালে প্রসঙ্গক্রমে চলে আসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিষয়টি। এ সময়ই আবদুস সালাম পিন্টু প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের সম্পৃক্ততার কথা বলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই ২৯ এপ্রিল তাঁর এই জবানবন্দি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় পুলিশ লিপিবদ্ধ করে। গত মঙ্গলবার কালের কণ্ঠে যে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, পিন্টুর জবানবন্দিতে সে সবই উল্লেখ আছে বলে সূত্র জানায়।

সূত্র আরো জানায়, মামলাটির অধিকতর তদন্ত অনেকটাই চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছিল। তবে এ ধরনের কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য চলে আসায় মোড় অনেকটা ঘুরে গেছে। আর এ কারণেই আরো বেশ কিছু সময় প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তাই আদালত থেকে তিন মাসের সময় নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, তদন্তে জানা যাচ্ছে যেসব ব্যক্তি আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার পাশাপাশি অরাজনৈতিক ‘তৃতীয় শক্তি’র হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চেয়েছিলেন, তাঁরা এ হামলার ঘটনায় সহায়তা করেছেন। এসব তথ্য বের হয়ে আসায় তাঁরা এখন অধিকতর তদন্তের দীর্ঘসূত্রতার অজুহাত তুলে নতুন রহস্য উন্মোচনে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছেন। গতকাল দৈনিক প্রথম আলোতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তবিষয়ক একটি রহস্যজনক প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। ‘বদলে দেওয়া’র স্লোগানে মুখর পত্রিকাটি কৌশলে তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

ওই পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকতর তদন্তে মাওলানা তাজউদ্দিনসহ হামলায় জড়িত জঙ্গিদের সহযোগী হিসেবে তৎকালীন প্রভাবশালী অনেকের নাম বেরিয়ে আসছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়। কিন্তু এ প্রভাবশালীদের মধ্যে কারা সন্দেহভাজন, তা প্রকাশ করা হয়নি।

দৈনিক কালের কণ্ঠে ছাপা হওয়া এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনের পাল্টা প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর জবানবন্দির ব্যাপারে গতকাল প্রকাশিত প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘খোঁজ করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কোনো কিছুই জানাতে পারেননি। জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেন, এমন কোনো জবানবন্দির কথা তাঁরা জানেন না। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হকও একই রকম মন্তব্য করেন।’ প্রথম আলোর মতো পত্রিকায় এ ধরনের প্রতিবেদন হাস্যকর। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের ভালো করেই জানা থাকার কথা, কোনো মামলার তদন্ত শেষ হওয়ার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী আসামিদের দেওয়া প্রাথমিক জবানবন্দির তথ্য সাধারণত অবগত থাকেন না। তদন্ত কর্মকর্তারা বিষয়গুলো সংরক্ষণ ও যাচাই করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে দৈনিক প্রথম আলো তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি কর্মকর্তাদের বক্তব্য প্রকাশ না করে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, র‌্যাব ও ডিবি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি ছেপে ধোঁয়াশা তৈরি করে পাঠকদের বিভ্রান্তিতে ফেলেছে। কারণ তাঁরা কেউই সরাসরি তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তার বাইরে খুব বেশি কারো অবগত থাকার কথা নয়।

সিআইডি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিআইডি ২৯ এপ্রিল এ ধরনের কোনো জবানবন্দি নেয়নি। তা ছাড়া ওই দিন পিন্টু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রিমান্ডেও ছিলেন না। আংশিক সত্য এ তথ্যের আড়ালে পত্রিকাটির অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে বলেই সন্দেহ করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। আগের দিন দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে কোথাও বলা হয়নি আবদুস সালাম পিন্টু ২১ আগস্ট মামলায় রিমান্ডে ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন সিআইডি দপ্তরে। সেখানে তিনি অন্য বোমা হামলা মামলায় রিমান্ডে ছিলেন।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তদন্তে বেরিয়ে আসে, সমাবেশে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে জঙ্গিদের আর্জেস গ্রেনেড সরবরাহ করেছিলেন মাওলানা তাজউদ্দিন। তাজউদ্দিন পিন্টুর ছোট ভাই। তাঁরা দুই ভাই এ মামলার অভিযুক্ত আসামি। পিন্টু এ মামলায় কারাগারে থাকলেও তাজউদ্দিন পলাতক।’ এ দুজনের সঙ্গে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও প্রতিবেদক টিপু সুলতানের সম্পর্কের কথা প্রকাশ পেয়েছে জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ১৬১ ধারার জবানবন্দিতে।

এদিকে কালের কণ্ঠে আলোচিত জবানবন্দি প্রকাশের পর প্রথম আলোর সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের অনেকে জানিয়েছেন, জঙ্গিনেতা তাজউদ্দিন একাধিকবার প্রথম আলো কার্যালয়ে মতিউর রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা দীর্ঘ সময় আলাপও করেছেন।

Bangladesh Updates says,

“Statements of former BNP minister Abdus Salam Pintu and HuJI leader Mufti Hannan were allowing the detectives to believe that radical leader and another HuJI kingpin Maulana Tajuddin has had somewhat links with the 21 August assassination attempt on Sheikh Hasina.”

“Recent CID quizzes over Abdus Salam Pintu and some other low-cap HuJI leaders have revealed that Maulana Tajuddin and Prothom Alo editor Matiur Rahman once have maintained a very active communication, particularly prior to the 21 August bombings at Bangabandhu Avenue. Some former employees of Prothom Alo who worked there in 2004 also have agreed that such communications existed. Even some of them have confirmed that Matiur Rahman with some other men from Prothom Alo held numerous long meetings with Tajuddin prior to the 21 August bombings.”

“Now, CID have decided to quiz Matiur Rahman over his relation with Maulana Tajuddin.”

“Notably, Prothom Alo has made precise cover-stories over operations of organizations like HuJI and other radical Islamic groups. But Maulana Tajuddin, who has always been a high profile HuJI leader, have never come to the focus of any single report made by Prothom Alo.”